Sim Cards: সিম কার্ড কেনা-বেচায় কড়াকড়ি কেন্দ্রের, নতুন কী কী নিয়ম চালু হচ্ছে?
যখন নতুন সিম কার্ড (SIM Card) কেনা হয় তখন কাস্টমারের আধার কার্ড (Aadhaar Card) নেওয়া হয় ও তার সঙ্গে কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন করা হয়, এরপর থেকে যে দোকান সিম বিক্রি করবে সেই দোকানের সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে অর্থাৎ কেওয়াইসি করা হবে।
যেসব দোকান থেকে বিভিন্ন সংস্থার সিম (SIM Card) বিক্রি করা হবে, সেইসব দোকানের জন্য এক নতুন নিয়ম চালু করল কেন্দ্রীয় সরকার। যেসব দোকানে এয়ারটেল, জিও, ভোডা ইত্যাদি কোম্পানির নামে সিম বিক্রি করা হবে, সেইসব দোকানে কেওয়াইসি (Know Your Customer) পদ্ধতিতে দোকানের খোঁজখবর নেওয়া হবে। Department of Telecom সিম কার্ডের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু করতে চলেছে এই বছরে পহেলা অক্টোবর থেকে অর্থাৎ যে সব দোকানে সিম কার্ড বিক্রি করা হয় সেই সব দোকানের বলা হচ্ছে ৩০ শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেওয়াইসি সমস্ত কাজকর্ম কমপ্লিট করে নিতে হবে। আর যেসব দোকান এখনো ভাবছে যে তারা সিমকার্ড (SIM Card) বিক্রি করতে চাই, সেইসব দোকানে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম-এর থেকে সিম কার্ডের জন্য কেওয়াইসি নতুন নিয়ম চালু করেছে।
কোন দোকান জিও (Jio),এয়ারটেল (Airtel), ভোডাফোন (Vodafone) এবং অন্যান্য যে সমস্ত সিম কার্ডগুলি বিক্রি করতে চাই, সেই সমস্ত সংস্থা থেকে তাদের কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন করা হবে।
মূল লক্ষ্য (Main Goal):
সিম কার্ড (SIM Card) দোকানগুলি থেকে কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন করার মূল লক্ষ্য গুলি হল,
• অনেক সময় ডুবলিকেট সিম কার্ডের মাধ্যমে ইউজারদের সাথে প্রতারণা করছে বা ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে হ্যাকাররা। এটার থেকে ইউজারদের বাঁচাতে সিমকার্ড যারা বিক্রি করছে,তাদের দিকে ভালোভাবে নজর দিচ্ছে Department of Telecom।
• সিম বিক্রি করার দোকানগুলি ইউজারদের যখন সিম দিচ্ছে, তখন কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করছে, কি ভাবে সিম দিচ্ছে, কোন দোকান থেকে কি সিম কেনা হচ্ছে, এই সমস্ত দেখছেন ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম।
Department of Telecom থেকে দুটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে-
১) প্রথম সার্কুলারটি সিম কার্ড ইউজারদের জন্য যে কিভাবে সিম কার্ড ব্যবহার করবেন, এই সম্পর্কিত কিছু তথ্য।
২) দ্বিতীয় সার্কুলারটি জারি করা হয়েছে, সিম কোম্পানিদের জন্য।
নিয়ম (Rule):
যেসব দোকানগুলি নতুন সিম (SIM Card) বিক্রি করবে ও সেই সিম যে সব কাস্টমার কিনবে, দুজনার জন্যই কিছু নিয়ম টেলিকম ডিপার্টমেন্ট থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
জরিমানা (Penalty):
যেসব কোম্পানির সিম (SIM Card) দোকানগুলি ব্যবহার করবে সেই সব কোম্পানিগুলি যদি ওই দোকানগুলির কেওয়াইসি (KYC) ভেরিফিকেশন ভালোভাবে না করে তাহলে ওই কোম্পানিগুলিকে টেলিকম সংস্থাকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে এবং ওই প্রতি দোকান পিছু ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
জিও এয়ারটেল ভোডা ও অন্যান্য যে কোন সংস্থা হোক না কেন যে দোকানগুলি তাদের সিম বিক্রি করবে সেই দোকানগুলিকে ভালোভাবে তাদের নজরে রাখতে হবে যে কি পদ্ধতি দেবা কি রকম ভাবে তাদের সিম ইউজারদেরকে বিক্রি করছে। যদি কোন অসৎ পদ্ধতি অবলম্বন করে তাহলে সেই অনুযায়ী ওই কোম্পানিগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
অসম, কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব অঞ্চল গুলিতে বিভিন্ন টেলিকম সংস্থাগুলির নির্দিষ্ট দোকানগুলিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে। ভেরিফিকেশন করার পর চূড়ান্ত চুক্তি হবে তারপরেই ওইসব দোকানগুলিতে সিম বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হবে।
ক্রেতাদের জন্য (For Customer):
সিম (SIM Card) কেনার সময় ক্রেতাদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) দেওয়া হয়ে থাকে এবং কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন (KYC Verification) করা থাকে। যদি কোন ইউজারের সিম কার্ড হারিয়ে যায় বা কোন কারনে নষ্ট হয়ে যায় তবে সে ক্ষেত্রেও ইউজারদের নতুন করে কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন করতে হবে অর্থাৎ সিম রি-ইস্যুর ক্ষেত্রেও ক্রেতাদের নতুন করে কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন করতে হবে। অনেক সময় ইউজারার সিম রি-ইস্যুর করতে গিয়ে সাইবার ক্রাইমের সম্মুখীন হয়েছেন। তার জন্য সিম ও সিমের অন্যান্য সমস্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকম এক করা নজরদারি ব্যবস্থা করেছে।
গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক সমূহ
আরও পড়ুন:
Honda Elevate: হন্ডার প্রথম SUV এল ভারতে, জেনে নিন এই গাড়ির দাম, ফিচার
2023 Hero Karizma ZMR: দেখে বিদেশি বাইক মনে হবে, এই মডেল আনল HERO, দেখে নিন ছবি
চলতি মাসে ১৫ হাজার টাকার কমে কোন কোন স্মার্টফোন কেনা যাবে? দেখে নিন (Smartphones Under 15000 in Bengali)
সবচেয়ে পাতলা ফোল্ডিং স্মার্টফোন লঞ্চ করল Honor, ফোন ফোল্ড করতে পারবেন 400,000 বার | Honor Magic V2 Specifications
Facebook Tips: আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকলে এখনই করে নিন এই কাজ, নইলে বিপদে পড়বেন!